ইসলামের দ্বিতীয় খলীফা হযরত হযরত ওমর (রা.) এর জীবনী

 


ইসলামের দ্বিতীয় খলীফা 

হযরত ওমর (রা.)-এর 

জীবনী 

সংকলন ও সম্পাদনায়


 হযরত ওমর (রা.) 

পৃষ্ঠা ১❤️

 হযরত ওমর (রা)-এর বংশ পরিচয়

 হাজার হাজার বছর আগে হযরত ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ মক্কা নগরীতে হাজার হাজার বছর আগে একটি এবাদতখানা নির্মাণ করেছিলেন। একে বলা হতো বায়তুল্লাহ। এখানে নানা সম্প্রদায়ের দেব-দেবীর মূর্তি রক্ষিত ছিলো। তারা নিজেদের দেব- -দেবীর পূজা সেখানে গিয়ে নিয়মিতভাবে করতো। মক্কায় প্রতি বছর মেলা বসতো। আরবের নানা জায়গা থেকে বহু লোক সে মেলায় এসে ভীড় জমাতো। নানা রকম পণ্যদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় হতো। ঘোড়দৌড় হতো, জুয়াখেল হতো, আরো অনেক কিছু হতো। তাদের নিজেদের দেব-দেবীদের নিয়ে তারা তর্ক করতো। তর্ক করতে করতে হাতা হাতি, তারপর মারামারি আরম্ভ হয়ে যেতো। কুরাইশ সম্প্রোদায়ের লোকদের ওপরে কাবা ঘরের হেফাজতের ভার ন্যস্ত ছিলো তাদের ইজ্জত ছিলো সকলের চেয়ে অনেক বেশি। এই কুরাইশদের মধ্যে খাত্তাব নামক এক সম্মানী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি কবিতা রচনা করতে পারতেন। তার রচিত বেশ কয়েকটি কবিতার সন্ধান পাওয়া গেছে।। 'আফা নামক স্থানে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কুরাইশ সেনাপতি হিসাম নামক এক ব্যক্তির কন্যা হানতামাকে তিনি বিবাহ করেন। সেই হানতামার গর্ভেই হযরত ওমর ৫৮২ ঈশায়ী সনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতার নাম ছিল খাত্তাব এবং দাদার নাম নুফাইল ইবনে উজ্জা। তিনি কুরাইশ বংশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তাঁর মায়ের নাম খাস্তানাহ, মাতামহ হিশাম। তাঁর সপ্তম পুরুষ ছিলেন আদ এবং তাদের আপন ভাই মোররাহ। তিনি রাসূলুল্লাহ প্রঞ্জ-এর পূর্ব পুরুষ ছিলেন। ওমর ও হযরত মুহাম্মদ ছিলেন একই বংশোদ্ভূত। আর এই বংশটি ছিল আরবের বিখ্যাত বংশ। ওমর (রা)-এর বাসস্থান ছিল মক্কায় জাবালে তাকিরের নিকটই। ইসলামী আমলে তাঁর নামানুসারে সেই পাহাড়টির নামকরণ করা হয় জাবালে ওমর বা ওমর (রা) পাহাড়। হত্যা নয় ইসলাম গ্রহণ হযরত ওমর (রা) অভাবনীয়ভাবে অভিভূত হয়ে তার ভগ্নিপতি সাঈদকে বললেন- সাঈদ, তুমি এই মুহূর্তে আমাকে হযরত মুহাম্মদ-এর নিকট নিয়ে চল। হযরত খাব্বাব (রা) এতক্ষণ পর্যন্ত আত্মগোপন করছিলেন। এবার তিনি সাহসে ভর করে প্রকাশ্যে বাহির হয়ে এসে বলল, ভাই ওমর। আমি এতক্ষণে আপনাকে একটি সংবাদ, প্রদান করেছি। গত রাতে হযরত মুহাম্মদ-কে আমি এই মর্মে দোয়া করতে শুনেছি যে, হে আল্লাহ অনুগ্রহ করে আবু জেহেল ও ওমর এই দুইজনের মধ্যে যে কোন একজনকে আপনি আমাদের দলভুক্ত করে দিন।


Post a Comment

0 Comments